এলপিজি কনভার্সন কি? বিশেষ সুবিধা ও অসুবিধা।

“দামে সস্তা” এই কথাটির মধ্যে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণের যথেষ্ট ক্ষমতা আছে। এমনিতেই গাড়ি বেশ ব্যয়সাধ্য তার-উপর জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেকেই জ্বালানি খরচ নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকেন। তাই জ্বালানি তেলের খরচ বাচাতে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে সিএনজি বা এলপিজি ব্যবহার করে থাকেন। অকটেন বা পেট্রোল চালিত গাড়ির ক্ষেত্রে সিএনজি বা এলপিজি কনভার্সন সচরাচর বেশি দেখা যায়। বলে রাখা ভালো এই এলপিজি/সিএনজি গাড়ির জন্য রিকমেন্ডেড কোন জ্বালানি নয় বরং প্রচলিত জ্বালানির (অকটেন/ডিজেল) বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

এলপিজি (লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস) হলো এক ধরনের তরল গ্যাস। প্রোপেন ও বিউটনের মিশ্রণে তৈরি এ গ্যাসকে গ্রিন ফুয়েল বা ক্লিন ফুয়েলও বলা হয়, যেই গ্যাস বাসা-বাড়িতে রান্নার কাজেও ব্যবহার হয়। বর্তমানে গাড়িতে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এই গ্যাস খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। চলুন জেনে নেয়া যাক বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এই গ্যাস ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা।

CERAMIC COATING

EXTERIOR POLISH

FOAM WASH

HEALTH CHECKUP

OIL & FILTER CHANGE

PREMIUM PACKAGE

#সুবিধা :

* এলপিজি গাড়ির ইঞ্জিনে তরল অবস্থায় প্রবেশ করে, তাই সিএনজি গ্যাসের চেয়ে এটি ইঞ্জিনের ক্ষতি অনেক কম থাকে।

* যথেষ্ট পরিবেশ বান্ধব, এজন্যই এটিকে গ্রিন ফুয়েল বলা হয়। পেট্রোল ইঞ্জিনের চেয়ে ৫০% ও ডিজেল ইঞ্জিনের ২০% কম নাইট্রোজেন অক্সাইড নিগর্মন হয়।

* এলপিজির স্টোরেজ প্রেশার অনেক কম লাগে, তাই ছোট সিলিন্ডারে অধিক গ্যাস স্টোর করা যায়। একই পরিমাণ গ্যাস স্টোর করার জন্য এলপিজি সিলিন্ডার থেকে প্রায় চার গুণ বেশি জায়গা দখল করে সিএনজি। অর্থ্যাৎ একটি ১০০ কেজির সিএনজি সিলিন্ডার সমান ২৫ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার।

* এলপিজি সিলিন্ডার ওজনে হালকা হয়ে থাকে, তাই গাড়ির সাসপেনশন সিস্টেমে কম চাপ পড়ে এতে করে সাসপেনশন সিস্টেম কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

* যেহেতু এলপিজি সিলিন্ডারে স্টোরেজ প্রেশার কম তাই বিস্ফোরণের ঝুকিও কম থাকে। সাধারণত এলপিজি সিলিন্ডারে ৭.৫ বার প্রেশার থাকে অন্যদিকে সিএনজি সিলিন্ডারে প্রেশার থাকে ২০০ বারের মতো।

* এই ফুয়েলের এফিসিয়েন্সি বেশ ভালো হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরুপ, একটি সেডান কার ৬০ লিটার সিএনজি দিয়ে ৮০ থেকে ১২০ কিলোমিটার চালানো যায় যেখানে একই পরিমাণ এলপিজি দিয়ে ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার চালানো যায়।

* এলপিজির সিস্টেম লস ৫ থেকে ৬ শতাংশের মতো হয়ে থাকে, অন্যদিকে সিএনজির সিস্টেম লস ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ হয়ে থাকে।

* সিএনজি রিফুয়েলিং নির্ভর করে ফিলিং মেশিনের প্রেশারের উপর, অনেক সময় সিএনজি পাম্পে প্রেশার কমে গেলে পরিপূর্ণ সিএনজি নেওয়া যায়না। অন্যদিকে এলপিজিতে কোন প্রেশারের ইস্যু নেই তাই রিফুয়েলিং নিয়েও ভাবনা কম।

* ঢাকা শহরের সিএনজি ফিলিং স্টেশন দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খোলা থাকে, অন্যদিকে এলপিজি ফিলিং স্টেশন সবসময়ই খোলা থাকে।এছাড়াও এলপিজি রিফুয়েলিং টাইম সিএনজি রিফুয়েলিং-এর অর্ধেক হয়ে থাকে।

 

#অসুবিধা :

* এলপিজিতে ইঞ্জিনের হর্সপাওয়ার কম পাওয়া যায়। পেট্রোল/অকটেন কিংবা ডিজেলের তুলনায় এলপিজির ক্যালরিফিক ভ্যালু কম।

* এলপিজির জন্য নতুন করে একটি সিলিন্ডার ইন্সটল করতে হয়। সাধারণ গাড়ির বুটস্পেসে এই সিলিন্ডার ইন্সটল করা হয়, তাই গাড়িতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহনে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

* মেইনটেনেন্স খরচ বেশি হয় তুলনামূলক পেট্রোল কিংবা ডিজেল চালিত গাড়ির তুলনায়।

* এছাড়াও এলপিজি ফিলিং স্টেশনের প্রাপ্যতা অনেক কম, শহরে এলপিজি ফিলিং স্টেশনের সংখ্যা তুলনামূলক কম আর রিমোট এরিয়ায় এলপিজি স্টেশন পাওয়া খুব কঠিন হয়ে যায়।

 

সর্বোপরি গাড়ি তার প্রস্তাবিত/রিকমেন্ডেড জ্বালানিতেই চালানো শ্রেয়। প্রস্তাবিত জ্বালানিতে গাড়ি চালালে গাড়ির আউটপুট ভালো পাওয়া যায়, ইঞ্জিন পারফরম্যান্স ভালো থাকে এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
আর যদি জ্বালানি খরচ কমানোর উদ্দেশ্যে পেট্রোল বা ডিজেলের বিকল্প খুজেন তাহলে এলপিজিই হতে পারে সেরা নির্বাচন।

নিয়মিত গাড়ির হেলথ চেক করুন, নিয়মিত হেলথ চেকের মাধ্যমে আপনার গাড়ি ভালো থাকবে এবং আপনি বেনিফিটেড হবে।
আপনার প্রিয় গাড়ির হেলথ চেক এবং যেকোন ধরণের পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করুন –

Vroom Services Limited
Call:                  +8809678187666
Whatsapp-      +8801511187666
Email-              info@vroom.com.bd
Address:          Level 6, Plot 10, Road 12, Block F
Niketan, Gulshan, Dhaka-1212, Bangladesh.

আপনার ও আপনার গাড়ির সার্বিক সুস্থতা কামনা করছি, ধন্যবাদ সবাইকে।