ইঞ্জিন অয়েল, লুব অয়েল, মোটর অয়েল কিংবা লোক মুখে পরিচিত “মবিল” এর আদ্যোপান্ত জেনে নেওয়া যাক।

ইঞ্জিন অয়েল কি?

– ইঞ্জিন অয়েল এক ধরনের তরল লুব্রিক্যান্ট, যা ইঞ্জিনের ভিতরে থাকা মুভিং পার্টসগুলোকে সচল রাখে। ইঞ্জিন চলাকালীন এর ভেতরে থাকা বিভিন্ন যন্ত্রাংশের মধ্যে ঘর্ষণ সৃষ্টি হয় এবং ঘর্ষণের ফলে ইঞ্জিনের পার্টসগুলো ক্ষয় হয়ে যায়। এই ক্ষয় রোধের করার জন্য ব্যবহার করা হয় ইঞ্জিন ওয়েল। এছাড়াও ইঞ্জিনের অতিরিক্ত তাপ কমানো, মরিচা প্রতিরোধক, ডিটারজেন্ট বা ফ্লাশিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে ইঞ্জিন অয়েল।
ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা এবং ফুয়েল এফিসিয়েন্সির অনেকটাই নির্ভর করে সঠিক গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের উপর।

ইঞ্জিন অয়েল গ্রেড কি?

– ইঞ্জিন অয়েলের গ্রেড মূলত দুই ধরনের, মনোগ্রেড এবং মাল্টিগ্রেড। মনোগ্রেড ইঞ্জিন অয়েলের প্যাকেজিং এ আমরা একটি সংখ্যা দেখতে পাই (যেমন : 5W), অপরদিকে মাল্টিগ্রেডে ইঞ্জিন অয়েলে দুটি সংখ্যা দেখতে পাই (যেমন : 5W30, 20W50)। “W” এর সাথে যুক্ত সংখ্যা দ্বারা তাপ এবং থার্মাল ভিসকোসিটি বোঝায়। মনোগ্রেড ইঞ্জিন অয়েল মূলত শীত প্রধান দেশগুলোতে ব্যবহার হয় এবং আমাদের দেশে সচরাচর মাল্টিগ্রেড ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা হয়। মাল্টিগ্রেড ইঞ্জিন অয়েল আবার তিন প্রকার, যেমন: – মিনারেল, সেমি-সিনথেটিক এবং ফুল-সিনথেটিক।

Havoline 5W30 synthetic Blend (4L)

Delo Sports advanced 5w 30 Fully Synthetic

Havoline® Formula SAE 15W-40 (4L)

Havoline® Pro DS Eco 5 SAE 0w-20 (4L)

Havoline COOLANT PREMIXED (4L)

Havoline® Motor Oil SAE 20w-50 (4L)

সঠিক গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার কেনো গুরুত্বপূর্ণ?

– গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রত্যেকটি গাড়ির জন্য নির্দিষ্ট গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল রিকমেন্ড করে থাকে। ইঞ্জিনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যাচাই করে গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিন অয়েল গ্রেড নির্বাচন করেন। সঠিক গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করলে গাড়ির ইঞ্জিন দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং ফুয়েল এফিসিয়েন্সি ভালো পাওয়া যায়।

নিম্নমান কিংবা ভুল গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের অসুবিধা।

– সঠিক গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার না করা কিংবা নিম্নমানের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের ফলে আপনার প্রিয় গাড়িটির ইঞ্জিনের ধীরে ধীরে কার্যক্ষমতা কমে যাবে। এছাড়াও আপনার গাড়ির মাইলেজ(/লিটার) কমে যাবে, এক্সেলারেশন কমে যাবে (সহজ ভাবে বললে ভার ভার মনে হবে)।
তাই নিম্নমানের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার, অদক্ষ গ্যারেজ বা ওয়ার্কশপ দিয়ে গাড়ির ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন না করাই শ্রেয়।

ইঞ্জিন অয়েল সম্পর্কিত কিছু টিপস:

– সঠিক গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফ্লাশিং করা।
– ভালো মানের অয়েল ফিল্টার ব্যবহার নিশ্চিত করা।
– নির্দিষ্ট সময় পরপর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করা। আমাদের দেশে সাধারণত তিন হাজার কিলোমিটার কিংবা তিনমাস পর ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন করা হয়, তবে ফুল-সিনথেটিক অয়েলের ক্ষেত্রে আরোও বেশি ব্যবহার করা যায়।
– গাড়ি রান করার পূর্বে ৩-৪ মিনিট ইঞ্জিন স্টার্ট করে রাখা, যাতে করে ইঞ্জিনে অয়েল ভালোভাবে সার্কুলেট হয়।
– বিশ্বস্ত পার্টস বিক্রয়কারী এবং দক্ষ ওয়ার্কশপ থেকে সার্ভিস গ্রহণ করা।

আপনার গাড়ির যেকোন ধরনের সেবা পেতে যোগাযোগ করুন –

Vroom Services Limited
Call:                  +8809678187666
Whatsapp-      +8801511187666
Email-              info@vroom.com.bd
Address:          Level 6, Plot 10, Road 12, Block F
Niketan, Gulshan, Dhaka-1212, Bangladesh.

আপনার ও আপনার গাড়ির সার্বিক সুস্থতা কামনা করছি, ধন্যবাদ সবাইকে।